শুকনো থুতুর মতো
- মৃৎ মাহমুদ ১১-০৫-২০২৪

অসম্ভব, একচেটিয়া ভালবাসা
আমি রচনা করছি না ।
সহজ উক্তিটির মর্মান্তিক ফায়দা তুলে
ফের ভালবাসা মাখামাখি করছে ঘাড়ের ভাঁজে ।
বলে দিয়েছি ভালবাসা অসহ্য বোধ হয় পুষতে,
সাদা হাতিরা আদর পেয়ে চুমু খায় গ্রীবায়
কালো রক্ত ঝড়ে মুখের নাকের চুমুকে ;
বিবৃতিমূলক বাক্যে কোন ভালবাসা নেই
তবুও ভিজে যায় দু’চোখের উত্তর দক্ষিন পাশ ।
ভালবাসাকে বড় মহৎ করে তোলা হয়েছে
অস্পৃশ্যের হননে নীল আলো জ্বালে নি কেউ
তবু ভেঙে আসে গলার স্বর আদরে
তুলতুলে নরম ভালবাসাকে বালির সাথে মিশিয়ে
পাঞ্চ-ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা হবে এ পর্যায়ে ।
ভালবাসা তবু আষ্টেপৃষ্ঠে থাকে গায়ে,
হিম শীতে উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে অভাব তৈরি করে
তারপর হারিয়ে যায় দৈনন্দিন দৌড়-ভাগে ।
এমন অভাব সব জড়ো হয়ে ভালবাসাকে
স্বৎকার করে মনে মনে বহুবার
তবুও একবার ভালবাসা পাওয়া যায় না আর ।

ভালবাসা বলা চিৎকার আসে ভেতর থেকে
ছিন্ন-ভিন্ন হয় রাত ফুরনোর শ্বাস-বাতাসটুকু,
ভালবাসাকে তোরা বয়কট্ কর,
আমিও ভালবাসার আর পূজো করবো না ।
সংক্রমিত ভাইরাসের হাত ধরে
গুটি গুটি পায়ে ভালবাসা এসেছিল
দারুন এক ফ্রক পড়া তরুণী হয়ে,
তখন চেনা যায় নি বীভৎস দুর্গন্ধটিকে
ক্রমশ বয়সের সাথে স্নিগ্ধতা হারিয়ে
এখন প্রকৃত অবয়ব দৃশ্যমান হয়েছে ।

ভালবাসা এখন জ্বরাগ্রস্থ স্বেদময় লালা-গ্রন্থি
থেকে বের হওয়া শুকনো থুতুর মতো,
নেড়ি কুত্তারাও নাক সিটকায় প্রচণ্ড ক্ষুধায়
তবুও একবার চেটে দেখার সাধ হয় না ।

নারীর রং ঢং বড্ড মলিন হয়েছে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে অন্ধ বৃদ্ধা হাত বাড়ায় খুঁটির দিকে
তেমনি নারীর শরীর এখন অস্থিরভাবে সুখি,
ভালবাসার সাত্কাহন মাছের এঁটো কাঁটার
খোঁচায় ছিন্ন-ভিন্ন হয়েছে প্রতিবার ।
কবিরা কবিতা লিখেছে,
গায়কেরা নানা কায়দা-বেকায়দায় গেয়েছে সব,
বাদ্যযন্ত্র কৌশলে তরঙ্গ ঝড়িয়েছে বহু,
শিল্পীর তুলিতে আছড়ে পরেছে তারা,
পর্যটকেরা আয়েশ করেছে তাতে চড়ে,
সুরকার সুর করেছে বড় আহ্লাদে,
গল্পকার গল্প ফেঁদেছে নানা অঙ্গীকারে
তাই সবখানে এত ভালবাসা ছড়ানো ছিটানো ।

তবু আমার কাছে ভালবাসা
নোংরা, এলোমেলো বিছানার ধূলিকণা
ঝেড়ে ফেলার মতো ডাস্টবিনে স্থান পেলো,
ভালবাসা কি এতই আপেক্ষিকতা নিয়ে চলে ?

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।